পঁয়ত্রিশেও চব্বিশের ফেদেরার!
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ইন্ডিয়ান
ওয়েলসের পর মায়ামি মাস্টার্স—বছরের শুরুতেই তিন-তিনটি বড় টুর্নামেন্ট জয়।
একটা বছরে স্বপ্নের শুরুর জন্য আর কী চাই!
২০১৭ সালে রজার ফেদেরারের এমন স্বপ্নিল শুরু পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে। পরশু মায়ামি মাস্টার্সের ফাইনালে ৬-৩, ৬-৪ গেমে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে এটিপি সার্কিটের তৃতীয় মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টটিও জিতে নিলেন সুইস এই বর্ষীয়ান। নতুন বাঁকে এসে দাঁড়াল তাঁর ক্যারিয়ার!
বাঁকই বলতে হয়। এর আগে সর্বশেষ কবে বছরের প্রথম বড় এই তিনটি টুর্নামেন্ট জিতেছিলেন, তা বোধ হয় ফেদেরার নিজেও ভুলে গেছেন। একবারই টানা এই তিনটি টুর্নামেন্ট জিততে পেরেছিলেন। সেটি ২০০৬ সালে, তাঁর ক্যারিয়ার-সূর্যটা যখন মধ্যগগন ছুঁই-ছুঁই। পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে তিনি সেই চব্বিশের ফেদেরারকেই কি মনে করিয়ে দিচ্ছেন না?
২০১৬ সালের শেষ পাঁচটা মাস ফেদেরারের কেটেছে কোর্টের বাইরে। কারণ ছিল হাঁটুর চোট। নতুন বছরে যখন কোর্টে ফিরলেন, কোনো টেনিসবোদ্ধা তো নয়ই, খোদ রজার ফেদেরারও কি তাঁর এই পুনর্জন্মের কথা ভাবতে পেরেছিলেন? উত্তরটা সম্ভবত ‘না’-ই হবে। ভাবতে পারার কথাও নয়। টানা পাঁচ বছর কোনো গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা হাতে ওঠেনি। দুই বছর দেখা পাননি মাস্টার্স শিরোপারও। সেই ফেদেরার কেমন জাদুমন্ত্রের মতো বদলে গেলেন নতুন বছরে। দুর্দান্ত খেলে জিতলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দুটি মাস্টার্স টুর্নামেন্ট—ইন্ডিয়ান ওয়েলস ও মায়ামি ওপেন। ১৭ নম্বরে বছর শুরু করা ফেদেরারের র্যা ঙ্কিং এখন ৪।
নাদালের বিপক্ষে তাঁর বিখ্যাত দ্বৈরথের গল্পটাতেও যোগ হলো নতুন অধ্যায়। ১৮ মাস আগে যেটি ছিল নাদালের পক্ষে ২৩-১০। ফেদেরারের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে যদি কোনো কমতি থাকে, তবে সেটি এই একটাই—নাদালের বিপক্ষে বিবর্ণ পারফরম্যান্স! নতুন বছরে বদলে গেল সেটিও। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছেন। হারিয়েছেন ইন্ডিয়ান ওয়েলসের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে। সর্বশেষ মায়ামি ওপেনে। এর সঙ্গে ২০১৫ সালে বাসেল ওপেনের ফাইনাল জুড়ে দিলে প্রথমবারের মতো টানা চার ম্যাচে নাদালকে হারালেন ফেদেরার। এর আগে টানা দুবারের বেশি যা পারেননি।
মায়ামি ওপেন জয়ের পর টেনিস থেকে মাস দুয়েকের বিরতি নিচ্ছেন ফেদেরার। ফ্রেঞ্চ ওপেনের আগে তাই কোর্টে তাঁকে দেখা যাবে না তাঁকে—এমনটাই জানিয়েছেন ১৮টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক, ‘আমি তো আর এখনো ২৪ বছর বয়সী নই, এখন অনেক কিছুতেই বড় পরিবর্তন এসেছে। ফ্রেঞ্চ ওপেন ছাড়া হয়তো আর কোনো ক্লে-কোর্টে খেলব না।’
শুধু ২০১৭ সালের হিসাব করলে অন্যদের চেয়ে রজার ফেদেরার ১৮১০ র্যা ঙ্কিং পয়েন্টে এগিয়ে। এ বছর আর যদি কোনো টুর্নামেন্ট না-ও খেলেন, তবু তাঁর র্যা ঙ্কিং ছয়ের নিচে নামার সম্ভাবনা কম। ফেদেরারের পুনর্জন্মের প্রমাণ হিসেবে আর কী চাই! ফক্স স্পোর্টস।
২০১৭ সালে রজার ফেদেরারের এমন স্বপ্নিল শুরু পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে। পরশু মায়ামি মাস্টার্সের ফাইনালে ৬-৩, ৬-৪ গেমে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে এটিপি সার্কিটের তৃতীয় মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্টটিও জিতে নিলেন সুইস এই বর্ষীয়ান। নতুন বাঁকে এসে দাঁড়াল তাঁর ক্যারিয়ার!
বাঁকই বলতে হয়। এর আগে সর্বশেষ কবে বছরের প্রথম বড় এই তিনটি টুর্নামেন্ট জিতেছিলেন, তা বোধ হয় ফেদেরার নিজেও ভুলে গেছেন। একবারই টানা এই তিনটি টুর্নামেন্ট জিততে পেরেছিলেন। সেটি ২০০৬ সালে, তাঁর ক্যারিয়ার-সূর্যটা যখন মধ্যগগন ছুঁই-ছুঁই। পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে তিনি সেই চব্বিশের ফেদেরারকেই কি মনে করিয়ে দিচ্ছেন না?
২০১৬ সালের শেষ পাঁচটা মাস ফেদেরারের কেটেছে কোর্টের বাইরে। কারণ ছিল হাঁটুর চোট। নতুন বছরে যখন কোর্টে ফিরলেন, কোনো টেনিসবোদ্ধা তো নয়ই, খোদ রজার ফেদেরারও কি তাঁর এই পুনর্জন্মের কথা ভাবতে পেরেছিলেন? উত্তরটা সম্ভবত ‘না’-ই হবে। ভাবতে পারার কথাও নয়। টানা পাঁচ বছর কোনো গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা হাতে ওঠেনি। দুই বছর দেখা পাননি মাস্টার্স শিরোপারও। সেই ফেদেরার কেমন জাদুমন্ত্রের মতো বদলে গেলেন নতুন বছরে। দুর্দান্ত খেলে জিতলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দুটি মাস্টার্স টুর্নামেন্ট—ইন্ডিয়ান ওয়েলস ও মায়ামি ওপেন। ১৭ নম্বরে বছর শুরু করা ফেদেরারের র্যা ঙ্কিং এখন ৪।
নাদালের বিপক্ষে তাঁর বিখ্যাত দ্বৈরথের গল্পটাতেও যোগ হলো নতুন অধ্যায়। ১৮ মাস আগে যেটি ছিল নাদালের পক্ষে ২৩-১০। ফেদেরারের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে যদি কোনো কমতি থাকে, তবে সেটি এই একটাই—নাদালের বিপক্ষে বিবর্ণ পারফরম্যান্স! নতুন বছরে বদলে গেল সেটিও। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছেন। হারিয়েছেন ইন্ডিয়ান ওয়েলসের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে। সর্বশেষ মায়ামি ওপেনে। এর সঙ্গে ২০১৫ সালে বাসেল ওপেনের ফাইনাল জুড়ে দিলে প্রথমবারের মতো টানা চার ম্যাচে নাদালকে হারালেন ফেদেরার। এর আগে টানা দুবারের বেশি যা পারেননি।
মায়ামি ওপেন জয়ের পর টেনিস থেকে মাস দুয়েকের বিরতি নিচ্ছেন ফেদেরার। ফ্রেঞ্চ ওপেনের আগে তাই কোর্টে তাঁকে দেখা যাবে না তাঁকে—এমনটাই জানিয়েছেন ১৮টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক, ‘আমি তো আর এখনো ২৪ বছর বয়সী নই, এখন অনেক কিছুতেই বড় পরিবর্তন এসেছে। ফ্রেঞ্চ ওপেন ছাড়া হয়তো আর কোনো ক্লে-কোর্টে খেলব না।’
শুধু ২০১৭ সালের হিসাব করলে অন্যদের চেয়ে রজার ফেদেরার ১৮১০ র্যা ঙ্কিং পয়েন্টে এগিয়ে। এ বছর আর যদি কোনো টুর্নামেন্ট না-ও খেলেন, তবু তাঁর র্যা ঙ্কিং ছয়ের নিচে নামার সম্ভাবনা কম। ফেদেরারের পুনর্জন্মের প্রমাণ হিসেবে আর কী চাই! ফক্স স্পোর্টস।
Comments
Post a Comment